আলো'চিত সংবাদ
শ্বশুরবাড়ির উপহারের হাঁস দিচ্ছে কালো ডিম

শখের বশে মাস ছয়েক আগে জামাইকে হাঁস উপহার দেন শ্বশুর। দেশি হাঁস পেয়ে জামাইও বেশ খুশি হন। করতে শুরু করেন লালন-পালন। ঠিক ছয় মাস পর ডিম দেয় উপহারের সেই হাঁস।
তবে সাদা নয়; দিচ্ছে কালো ডিম। তাও দুদিনে দুটি কালো ডিম দেয় এ পাতিহাঁসটি এবার দেশি হাঁসের এমনই কালো ডিমের দেখা মিলেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পরামানিকপাড়ার ইব্রাহিম আলীর বাড়িতে। ইব্রাহিম একই এলাকার বাহার আলীর ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম মজিদা কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়িতে কৃষি কাজ করেন ইব্রাহিম। ছয় মাস আগে তাকে পাঁচটি হাঁস উপহার দেন শ্বশুর। লালন-পালনের পর ২৯ অক্টোবর ডিম দেয় একটি হাঁস। সকালে সেই ডিম দেখে অবাক হয়ে যান ইব্রাহিম। সাদা ডিমের বদলে দেখেন কালো ডিম। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ডিম দেখতে তার বাড়িতে ভিড় জমান প্রতিবেশীরা। পরদিন একই ধরনের আরেকটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি। এরপর আশপাশের গ্রামের লোকজনও তার বাড়িতে ভিড় জমান।
ইব্রাহিম বলেন, স্ত্রী রেহেনা বেগমসহ ছয় মাস ধরে খুব যত্নে পাঁচটি হাঁস পালন করছি। এর মধ্যে একটি পুরুষ হাঁস। শ্বশুরবাড়ি থেকে এসব হাঁস উপহার দিয়েছিল। দুটি কালো রঙের হাঁস রয়েছে। স্বাভাবিক খাবারই তাদের দেওয়া হয়। শনিবার রাত থেকে একটি হাঁস ডিম দিচ্ছে। তবে কালো ডিম। রোববার পরিবারের সবাই মিলে কৌতূহল নিয়ে ডিমটি বের করা হয়। এরপর আরো একটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি।
ইব্রাহিমের ভাই আব্দুল মজিদ বলেন, কালো ডিমের খবর পেয়ে ছুটে আসি। ডিম দেখে অবাক হয়ে যাই। এর আগে এমন ডিম দেখিনি।
ইব্রাহিমের ভাবি সাহিদা বেগম বলেন, হাঁসতো একই। অন্য হাঁসের মতো স্বাভাবিক। কিন্তু ডিম দিলো কালো।
হাঁসের জরায়ুতে ইনফেকশন থাকলে এমন হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়া ডিম তৈরির পিগমেন্ডের প্রয়োজনীয় পরিমাণ অনুপস্থিত থাকলেও এমনটা হতে পারে বলেও জানান তারা।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. আশিকুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এখনো দেখিনি। এটি বিরল ঘটনা। তবে জরায়ু ইনফেকশন বা কম মাত্রার পিগমেন্টের কারণে কালো ডিম দেয় হাঁস।