লাইফস্টাইল
প্রে’ম করে নোয়াখালীর তরুণকে বিয়ের জন্য কা’ন্নাকাটিও করেছেন মিশরীয় তরুণী

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই দম্পতি গ্রামের বাড়িতে আসেন। তারা ২০২০ সালের মিশরে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর এবারই তারা প্রথম বাংলাদেশে এসেছেন।
গো’লাম সারোয়ার বাবু বলেন, ‘আমি ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে মিসর যাই। সেখানে একটি গার্মেন্টে চাকরি করি। কারখানার পাশেই ছিল দালিয়াদের বাসা। এর সুবাদে তার ভাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। মাঝেমধ্যে দালিয়ার বাসায় আমা’র যাওয়া হতো। একসময় দালিয়াকে ভালোলাগার বিষয়টি জানাই। এতে সায় দিলে প্রে’মের স’ম্পর্ক গড়ে ওঠে।’
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে দালিয়ার পরিবারকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে কেউই রাজি হননি। পরে দালিয়া অনেক কা’ন্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে আমাদের বিয়ে হয়। গত বছর আমাদের একটি সন্তান হয়। সে সন্তান মা’রা গেছে।
এবার প্রথম দুজনের একসঙ্গে দেশে এলাম। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কা’টাচ্ছি। বাবু আরও বলেন, ‘বিদেশি পুত্রবধূ পেয়ে আমা’র বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা খুবই উচ্ছ্বসিত।’
তিনি জানান, ২০১৮ সালের দিকে ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার পরিবারের কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে ওই দেশের আইন-কানুন মেনে মিশরে ওই তরুণীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন সরোয়ার। তাদের সংসার সম্পর্কে তিনি জানান, গত বছরে তাদের একটি বাচ্চা জন্ম নেয়। পরে সে মারা যায়। এরপর এবারই প্রথম দুজনের এক সঙ্গে দেশে আসা। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন তারা। বিদেশী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত।
মিশরী তরুণী ডালিয়া বলেন, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। তবে মাংসের চেয়ে আলু তার বেশি পচন্দ। তবে কারো সঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ্বশুর বাড়িতে দুই মাস থেকে আবার মিশর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।
বাবুর বাবা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, পুত্রবধূ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারায় ইঙ্গিতে কথা বলছে। বিদেশিনী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত।